রূপক দাস আইল্যান্ড পিকের শিখরে! 

অনেকেই হয়তো চিনবেন না রুপক দাস কে, হঠাৎ করেই অভিযান এবং তার জীবনের প্রথম ৬০০০+ মিটার পর্বতের শিখর স্পর্শ!

অনেকদিন আগেই আমার সাথে ফোন কথা হচ্ছিল রুপক দার সাথে। তখন জানিয়েছিলেন তিনি বেসিক পর্বতারোহণ এবং এডভ্যান্স পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন! শুনে আমিও অবাক হয়েছিলাম কারণ আমি দাদার বিষয়ে কিছুই জানতাম না।

এরপর শুরু হয় বিভিন্ন গল্প এবং ভবিষ্যত পর্বতারোহণ পরিকল্পনা। তিনি ৬০০০ মিটার পর্বত অভিযান করতে চাইছেন। আমাদের অভিযানের সাথে যুক্ত হতে বললে তিনি জানালেন, দুর্গা পূজার সময় অবশ্যই পরিবারের সাথে থাকতে হবে, তাই আমাদের অভিযান চলাকালীন সময়ে তার জন্য আলাদা ভাবে প্লান করা হয়।

কালী পূজার আগে অভিযান শেষ করার জন্য একটু টাইট প্লান করা হয় এই অভিযান। যেহেতু দুইটা প্রশিক্ষণ আছে তাই পর্বতারোহণ সম্পর্কে রূপক দাদার ধারণা ভালই আছে। তাই কঠিন কিছু হবে না। সেই ভাবেই পরিকল্পনা এবং সেটআপ তৈরি করা।

ওপর দিকে দাদার অভিযান শুরু করার পর নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও, শেষের দিকে ঠিক মত যোগাযোগ হচ্ছিল না ফোন চার্জ সল্পতার জন্য। সামিট এর বিষয়েও জানতে পেরেছিলাম আমাদের শেরপা বন্ধুর কাছ থেকে! পরবর্তীতে দাদা আইল্যান্ড পিক (৬১৬৫ মিটার) এর শিখর স্পর্শ করার পর চুখুং গ্রামে ফিরে এলে শেরপার ফোনের মাধ্যমে কথা হয় এবং আশ্বস্ত হই তার সুস্থ্ ভাবে সফলতা অর্জনের ব্যাপারে।

আজ ১২ নভেম্বর, রুপক দাদা দেশে ফিরে আসছেন।

বিস্তারিত আলোচনায় জানা গেছে, দাদা ডিংবচে তে একদিন অতিরিক্ত থেকে নগর্যুন পর্বত এর শিখরে উঠে অতি উচ্চতার সাথে খাপ খাওয়ানোর পক্রিয়া সম্পন্ন করেন। লোবুচে গ্রাম থেকে ট্রেক করে এভারেস্ট বেজ ক্যাম্প যান এবং একই দিন কালাপাত্থার পর্বত এর শিখর স্পর্শ করেন। ফিটনেস খুবই ভাল ছিল এবং আইল্যান্ড পিক অভিযান ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়ে আগেই অভিযান শেষ করে কাঠমান্ডু ফিরে আসেন।

রূপক দাদার এই সফলতায় Rope4 আনন্দিত এবং গর্বিত। পাশাপাশি দাদার অভিযানের সার্বিক সহযোগিতায় Rope4 কে বেছে নিয়েছেন বলে আবারও ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা। 

খুবই দ্রুত Rope4 থেকে একই সাথে কোন পর্বত অভিযান করা ইচ্ছা পোষন করছি।