বিষয়: ট্রেকিং ও হাইকিং এর সময় পথ চলার আদবকেতা
পাহাড়-পর্বতে অভিযান আমাদের দেশে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অতিউচ্চতায় হাইকিং, ট্রেকিং এবং মাউন্টেনিয়ারিং এখনকার সময়ের তরুণদের দারুণভাবে রোমাঞ্চিত করে। প্রতি সিজনেই দেখা যায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ পাহাড়ে যাচ্ছে। নেপালে গেলে এখন পরিচিত কাউকে না কাউকে পেয়েই যাই। অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন ট্রেইলে নানান দেশের পর্বতারোহী বা ট্রেকারদের সাথে সাক্ষাত হয়। কুশল বিনিময়ের সাথে সাথে ট্রেকারস হাট গুলোতে চায়ে চুমুক দিতে দিতে গল্পও হয়। অনেকে পথ আটকে দাঁড়ায় একটু গল্প করার জন্য। জিনিস গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি বিশ্বাস করি আমরা যারা অভিযানে যাই তাদের প্রত্যেকের মন মানসিকতা আর ৮-১০ জন সাধারণ মানুষের মত না। আমরা নতুনকে অভিজ্ঞতা করতে যাই এবং নিজেদের সংস্কৃতি বহন করে নিয়ে যাই। পথে যাদের সাথেই দেখা হয় বা গল্প হয় গর্ব করে নিজ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরি। আমরা যারা হাইকিং, ট্রেকিং বা অতি উচ্চতায় অভিযান নতুন শুরু করেছি তাদের পথচলা সুন্দর করতে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরী। সেটা নিয়েই আমার আজকের লেখা।

মাউন্টেন ম্যানারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পথে হাটার আদবকেতা। অতিউচ্চতার পাহাড়ি পথ গুলো অনেক নীরব থাকে, পথের গ্রাম গুলো ছাড়া পথে খুব কম মানুষই পাবেন। যাদেরই পাবেন তারাও বেশীর ভাগই আপনার আমার মত অভিযাত্রী। যদি পথ চলতে চলতে কোন সরু পাহাড়ি পথে বা পাহাড়ের কোন রিজ লাইনে কোন বড় দলের মুখোমুখি হয়ে যান, তাদের জন্য আপনাকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তখন সবচেয়ে ভালো যেই চিন্তাটা মাথায় আনবেন, সেটা হল আপনি একা নন, আপনার সাথে আরো অনেক বন্ধু এই প্রকৃতি উপভোগ করতে এসেছে!
যতক্ষণ তারা আপনাকে অতিক্রম করবে তারা যেন আপনার ব্যবহারে এটাই দেখতে পায়। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে অপেক্ষা বা আটকে থাকাটা আপনার বিরক্তি লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা তাদের একটুও বুঝতে দেয়া যাবে না। দেখবেন তারাই আপনাকে যাওয়ার জায়গা করে দিতে চাইবে। আপনার উচিত হবে তাদেরকেই চলে যেতে দেয়া। কেন? পরে বলছি।
এখনকার সময়ে অনেক দেশের পর্বত প্রেমীরা পাহাড়ে আসেন। সকলের মানসিকতাও ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু আমরা সকলেই প্রকৃতি এবং পাহাড় উপভোগ করতে এসেছি, আর এই একটা বিষয়ে আমাদের বড় একটা মিল খুঁজে পাই। তাই ট্রেইলে সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের সকলেরই খুবই উন্নত ট্রেইল শিষ্টাচার মেনে চলা জরুরী। যথাযথ ট্রেইল শিষ্টাচার সম্পর্কে সচেতন হওয়া বা না হওয়া অন্য পথচারী বা অভিযাত্রীর অভিযানের অভিজ্ঞতা সুন্দর বা নষ্ট করে দিতে পারে।
এখানে কিছু জরুরী বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করছি যা আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারে।
-
যথাযথ পথচলার শিষ্টাচার অনুসারে উপর থেকে নামা পথচারীদের নিচে থেকে উপরে উঠা পথচারীকে সুবিধা প্রদান করা উচিত। কারণ সাধারণ ভাবেই যিনি উপরের দিকে উঠছেন তার দৃষ্টিসীমা কম থাকে এবং চোখের সামনে যতটুকু দেখা যায় তার মধ্যে পথ সরু থাকে (ডানে বায়ে যাওয়া কষ্ট সাধ্য হয়)। পাশাপাশি তারা চড়াই করার সময় একটা নির্দিষ্ট গতিবেগ ধরে রাখতে গ্রাভেটির সাথে লড়াই করতে থাকে খাড়া ঢাল অতিক্রম করার জন্য। যেহেতু গ্রাভেটি উপর থেকে নেমে আসা অভিযাত্রীর অনুকূলে থাকে এবং তার দৃষ্টিসীমা একটু বেশী থাকে তাই সে সব কিছু দেখে শুনে তার গতি ভালভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- সাধারণ সৌজন্যতায় উপর থেকে নেমে আসা অভিযাত্রী নিচ থেকে উপরে উঠা অভিযাত্রীর ডান দিকের পথে চলবে। যদি উপরে উঠতে থাকা অভিযাত্রী সামনের কোন অভিযাত্রীকে অতিক্রম করতে চায় তাহলে অবশ্যই একটু প্রশস্ত স্থানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সরু রাস্তায় ধৈর্য্য ধরে পেছন পেছন যাওয়াটাই ভদ্রতা। যখন অতিক্রম করবেন তখন অবশ্যই নমনীয় ভাবে তাকে অবগত করতে হবে কমন ভাষায় (ইংরেজী) যে আপনি তাকে অতিক্রম করছেন।
-
আপনি যদি একা হন এবং কোন বড় দলের সামনে পড়েন তাহলে রাস্তা ছেড়ে বড় দলটাকে চলে যেতে দিন। কারণ পাহাড়ী পথ গুলো অনেক সরু হয় এবং এই পথের পাশেই অনেক উদ্ভিদ ও প্রানী থাকতে পারে। যদি বড় দল পথ ছেড়ে দেয় তাহলে সেই সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেশী ক্ষতিসাধণ হবে। আর ছোট দল বা একজন অভিযাত্রী পথ ছেড়ে দিলে সেগুলো বেশী রক্ষা পাবে। আপনার ডান দিকে অথবা একপাশে দেয়াল এবং অন্য পাশে ঢালু থাকলে, দেয়াল এর দিকে সরে তাদের জন্য জায়গা করে দিন।
-
মোটরসাইকেল, সাইকেল, ঘোড়ায় চড়ে অথবা পায়ে হেঁটে , সবাই একটা পথই ব্যবহার করে থাকে এবং এই পথে সকলেরই সমান অধিকার থাকে। যখন তারা মুখোমুখি হবে তখন অবস্থা বুঝে একজন আরেকজনকে জায়গা করে দেয়াটাই সমীচীন। সাধারণত বাইকারদের উচিত ঘোড়া এবং পায়ে হাঁটা অভিযাত্রীদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়া। যেহেতু বাইকের একটা গতি থাকে এবং সেটা নিয়ন্ত্রণ করা একটু কষ্টসাধ্য তাই পায়ে হাঁটা অভিযাত্রীদের পথ ছেড়ে দেয়া জরুরী। অন্যদিকে অবশ্যই ঘোড়ায় চড়া অভিযাত্রীকে , বাইকার এবং পথচারী উভয়েই জায়গা ছেড়ে দিবে।
-
অন্য অভিযাত্রীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করা খুবই জরুরী। এমন না যে শুধুমাত্র কুশল বিনিময়েই সীমিত থাকবে। চেষ্টা করবে ছোট করে গল্প করার জন্য। এতে করে আপনি তাদের বা তারা আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে পারবে বর্তমান ট্রেকের সম্পর্কে। তারা যেই গ্রাম থেকে এসেছে, সেই গ্রাম অবশ্যই এক্সপ্লোর করেছে বা যেই ট্রেইল দিয়ে এসেছে তার বর্তমান অবস্থা দেখে এসেছে, গল্প করলে সেই বিষয় গুলো কিছু আগে থেকেই জানা হয়ে যাবে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
- যদি আপনি একা হন তাহলে তাদের অভিজ্ঞতা অনুসারে কোথায় থাকলে ভাল সেটারও একটা ধারণা নিতে পারবেন তাদের কাছ থেকে। আমি যেমন বেশ কয়েকবার গল্প করে আমাদের দলের কে কোথায় আছে সেই সম্পর্কে ধারণা নিয়েছিলাম। আবার একবার আমাদের সকল ইকুইপমেন্ট এর ব্যাগ নিয়ে পোর্টার উধাও হয়ে যায়। অপরিচিতি তাই ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু কিছু অভিযাত্রীর মাধ্যমে সেই পোর্টার আমাদের কাছে মেসেজ পাঠিয়েছিল যে সে সামনে এগিয়ে গিয়েছে।
-
ট্রেইলে স্মার্ট ফোন, ব্লুটুথ স্পিকার এবং হেডফোন ব্যবহার করা ঠিক কিনা? এসবের সঠিক ব্যবহার একটা সাধারণ শিষ্টাচারের মধ্যে পরে। বর্তমান সময়ে আমরা যেভাবে চলি সেভাবে স্মার্টফোন ছাড়া চিন্তা করা অসম্ভব। স্মার্টফোন তো আমরা সাথে নিবোই তবে, সেটার ব্যবহারের সাধারণ শিষ্টাচার মেনে ব্যবহার করার চেষ্টা করবো।
- সাধারণত এসকল এলাকায় নেটওয়ার্ক থাকে না। তারপরেও যদি ফোনে কথা বলার সুযোগ থাকে তবুও পথ চলতে চলতে ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকবো। আর যদি ফোনে কথা বলতেই হয়, এমন উচ্চস্বরে কথা বলব না যে আসে পাশের ট্রেকাররা বিরক্ত হয়। ফোনে লাউড স্পিকারেও কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। উচ্চস্বরে গান বাজাবেন না। ব্লুটুথ স্পিকারে বা যেখানেই গান বাজাবেন চেষ্টা করবেন যেন অল্প শব্দ হয়।
- হেডফোনে গান শুনতে পারেন, তাহলে অন্য কাউকে বিরক্ত করা হবে না। কিন্তু সেটা আপনার জন্য ক্ষতি হতে পারে। অতি উচ্চতার সাথে শরীরকে দ্রুত খাপ খাওয়াতে কান খোলা রাখা খুবই জরুরী। এছাড়া আপনি কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখলে কেউই আপনার সাথে কথা বলতে আসবে না আর আপনার টিম মেট কোন জরুরী মেসেজ পাস করলে সেটা আপনি শুনতে নাও পারেন। তাই পাহাড়ে হাঁটার সময় কানে হেডফোন না ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি।
- যখন ছবি তুলছেন দেখবেন যেন অন্য কারো ছবি তার অনুমতি ছাড়া যেন চলে না আসে। মোট কথা স্মার্টফোন বা টেকনোলজি সাথে নিবেন কিন্তু সেটা ব্যবহার মার্জিত ভাবে করার চেষ্টা করবেন। যেন অন্য কেউ আপনার দ্বারা বিরক্ত না হয়।
- চলতি পথে যদি টয়লেট করতে হয় তাহলে কি করবেন? ট্রেকে অনেকেরই অন্তত একবার না একবার এমনটা হয় যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। পাহাড়ে চলার পথে এমন পরিস্থিতিতে বেগ আটকে রাখার প্রয়োজন নেই। বরং কিছু নিয়ম মেনে নিজেকে হালকা করে নিন। মূল পথ থেকে এবং পানির উৎস থেকে অন্তত ২০০ ফুট দূরে গিয়ে টয়লেট করবেন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে নিরাপদ দূরত্বে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশে পাশে ঢালু এলাকা হলে সুবিধা মত বড় পাথর বা গাছ খুঁজে নিবেন যেন অন্য কোনো অভিযাত্রীর চোখে না পরেন।
- পথে এমন ভাবে ব্যাগ রেখে যাবেন না যেন অন্যরা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া আপনি একা হলে ব্যাগ আপনার সাথে নেয়ার জন্যই বলবো নয়তো কিছু হারিয়ে যাওয়াটা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আপনাদের কাছে জোরপূর্বক অনুরোধ রইলো কখনো ব্যবহার করা টিস্যু ফেলে আসবেন না। সাথে একটা লকিং ব্যাগ রাখবেন যা পরবর্তী স্টেশনে ফেলে দিতে পারেন। আপনি এমন ভাবে ভ্রমণ করুন যেন অন্য কেউ না বুঝতে পারে এই জায়গায় আগে কেউ এসেছিল।
-
কোন চিহ্ন ফেলে আসা যাবে না। “লিভ নো ট্রেস” একটা খুবই জরুরী শিষ্টাচার ও গাইডিং রুলস। ট্রেকিং করার সময় সেখানকার মানুষ, প্রকৃতি ও প্রাণীজগৎ এর কথা মাথায় রেখে আপনাকে ভ্রমণ করতে হবে। যেন আপনার জন্য সেখানকার কোন অবস্থার খারাপ পরিবর্তন না হয়। সেখানকার পরিবেশ আমরা যেভাবে পেয়েছি ঠিক সেভাবেই যেন অন্য পর্যটকরা পায় এবং আমিও যদি আবার আসি তখন এমনই পরিবেশ যেন আমি পাই! এজন্য ট্রেকিং করার সময় কখনোই কোন চকলেটের খোসা বা খাবারের উচ্ছিষ্ট অথবা অন্য কিছু যেখানে সেখানে ফেলবো না।
- কোমরে ছোট একটা ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যাগ জড়িয়ে রাখবেন এবং আবর্জনা সেখানেই ফেলবেন। নিজের ময়লাই যে শুধু প্যাক করবেন তা নয়, যদি পথেও কোনো ময়লা দেখতে পান সেটাও নেয়া আপনার কর্তব্য। যেভাবে এই প্রকৃতিকে পাচ্ছেন তার থেকেও ভাল ভাবে রেখে আসবেন।
-
ট্রেইলের মধ্যেই থাকা। যখন হাইকিং বা ট্রেকিং করবেন, চেষ্টা করবেন মূল চলার পথেই থাকতে। হুটহাট করে আশেপাশের বনে বা গাছগাছালি মারিয়ে যাবেন না। মনে রাখবেন, এমনটা করলে আপনি পরিবেশের ক্ষতি করছেন। পথে যেটা যেভাবে পাবেন যেমন কেইর্ণ (পাথরের স্তূপ বা পথ প্রদর্শক) সেটা সেভাবেই রেখে আসবেন। তুলে নিয়ে আসা বা ভেঙ্গে ফেলা, এমন কোন কাজ করবেন না। এমনটা করলে আপনি অন্য কারো ভুলপথে চলে যাওয়ার জন্য দায়ী হবেন। আবার অকারণে কেইর্ণ বানাতে যাবেন না, তাতে অনেকের পথ ভুল হয়ে যেতে পারে। যা যা যেভাবে দেখছেন, সব সেভাবেই রাখার চেষ্টা করবেন।
-
কোন অভিযাত্রীর সাহায্যের প্রয়োজন হলে অবশ্যই সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করুন। সামর্থ্য না থাকলে সাহায্য আসার আগ পর্যন্ত তার পাশে থেকে সাহস যোগাতে পারেন। না জেনে ও না বুঝে সাহায্য করতে যাবেন না, এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। কেউ সাহায্য না চাইলে জোর করে সাহায্য করতে যাওয়া ঠিক হবে না।
-
আপনি যেই এলাকায় ভ্রমণ করছেন, সেই এলাকার মানুষের আচার-বিশ্বাস ও স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। বিশেষ করে নেপালের ট্রেক গুলোতে চলার পথে অনেক স্থানেই শীলা স্তুপা পাবেন, দেখবেন তাদের ভাষায় অনেক ধর্মীয় বাণী লেখা আছে সেখানে। এছাড়াও পাবেন প্রেয়ার হুইল, যার গায়েও ধর্মীয় বাণী লেখা থাকে। এগুলোর সামনে দেখবেন সব সময় দুইটা পথ থাকে একটা ডান দিকে ও অন্যটা বাম দিকে। চেষ্টা করবেন এগুলোকে হাতের ডান দিকে রেখে পথ চলার জন্য। প্রেয়ার হুইল মন চাইলে ঘুরাতে পারেন, ঘুরালে ডান হাত দিয়ে ঘুরাবেন। মনে রাখবেন আপনি যেমন সম্মান দিবেন তারাও ঠিক সেভাবেই আপনাকে সন্মান করবেন।
পরিশেষে বলতে চাই, নিজের দেশকে বাইরের দেশের মানুষের কাছে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করার জন্য যেসব শিষ্টাচার প্রদর্শন করা প্রয়োজন সেগুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
মনে রাখবেন ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। আর ভিন্ন দেশে আমাদের পরিচয় বংশে নয় বরং জাতীয়তায়। আমরা যেমন ব্যবহার করবো সবাই আমাদের দেখে তেমনই ভাববে। তাই ভ্রমণ করুন, নতুনকে জানুন এবং নিজেদের উন্নত পরিচয় ছড়িয়ে দিন।

Excellent article. I definitely appreciate this site. Keep writing!
Thank you!